আজও আমি শুয়ে আছি
আকাশ আর মাটির মাঝখানে
শুয়ে শুয়ে ভাবছি... ...
এমন সময় কে যেন হাঁক দিল,
“মাঝখানে ঝুলছিস কে বে?”
আমি বললাম, “ডিস্টার্ব কোরো না...
তুমি কি দেখছ না, আমি উপলব্ধি করছি,
দুঃখীর দুঃখ;
আর্তের আর্তি?
শোষিত, অবহেলিত, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত...
মানুষের কান্না আমায় কাঁদাচ্ছে?
আর ভীষণভাবে ভাবাচ্ছে?”
সে বলল, “চোপ্ বে... আমরা শালা হেদিয়ে মরছি,
আর উনি হেলিকপ্টারে বসে বসে পরিদর্শন করছেন
আর ফ্ল্যাজেলেশন মাড়াচ্ছেন...”
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সে বলে চলল...
“শালা... ত্রিশঙ্কু হয়ে ঝুলে না থেকে সাহস থাকে তো নিচে মাটিতে নাম
ভাল করে বুঝে নে ঠিক কতটা ধানে কতটা চাল হয়।
দ্যাখ ঠিক কত রকম উপায়ে বেঁচে থাকা যায়।
আর যদি সাহস না থাকে তো একেবারে আকাশেই চলে যা... চল্ ফোট্...
আল্গা সান্ত্বনার দরকার নেই আমাদের।”
আমি তখন যুক্তি খুঁজি এড়িয়ে চলার।
দোহাই দিই সীমিত ক্ষমতার
বুঝিয়ে বলি, ঠিক কী কী কারণে আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।
শুনে সে হাসতে থাকে। আর বলে,
“থাক থাক, তোর ফুটো কেরদানি আমার জানা আছে...
তুই বরং মিনারেল ওয়াটারে চুমুক দিতে দিতে
আড়চোখে একবার রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থ ভিখারীটার দিকে তাকিয়ে
বন্ধুকে বুঝিয়ে বল, ঠিক কী কী কারণে কলকাতার সাবঅল্টার্ণদের এই দূর্দশা।”
No comments:
Post a Comment