Search within this blog

Wednesday, February 28, 2007

বাজে ভাট

আমাদের জীবনের সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতির যোগ আর আমাদের জীবনে সংস্কৃতির প্রভাব এবং অন্যভাবে বলতে গেলে, আমাদের সংস্কৃতির উপর আমাদের জীবনধারার প্রভাব... ... ...
আমি জানি যে এসব খুবই গুরুগম্ভীর আলোচনা যা আমার ব্লগের সঙ্গে ঠিক যায় না। তাই আমি এ লাইনে আর যাচ্ছিইনা। বরং আমার জীবনের কিছু দেখা, কিছু চেনা, কিছু শোনা আর কিছু অনুভব করা কথা এখানে বলব।
কয়েক বছর আগে যখন চারদিকে বাংলা ব্যান্ডের ক্রেজ জাঁকিয়ে বসেছে, ভূমি রয়েছে অবিসংবাদিত এক নম্বরে, আর ভূমির গান বারান্দায় রোদ্দুর চারদিকে লোকের মুখে মুখে ফিরছে, ঠিক তখনই আমি আমার সাইকেলে পাম্প করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম পাড়ার একটা সাইকেল দোকানে। চারদিকে মাইকে তখন তোমার দেখা নাই খুব চলছে। কিন্তু পাম্প করে দিতে এল যে চোদ্দ পনেরো বছরের ছেলেটি সে দেখলাম গাইছে, কোমর ব্যথা নাই রে, কোমর ব্যথা নাই...। দূর থেকে ভেসে আসা মাইকের আওয়াজে সে হয়তো এটাই শুনেছে, আর নিজের মতো আত্তীকরণ করে নিয়েছে।
না; আমি কোনো ব্যখ্যায় যাব না। শুধু বলতে চাই সংস্কৃতি যেমন অনেক সময় আমাদের সমষ্টিগত হাসি-কান্না আনন্দ-বেদনার প্রকাশ, সেইরকমই সংস্কৃতি অনেক সময় আমাদের ব্যক্তিসত্তার উপর নির্ভর করে অন্যভাবে আত্তিকৃত হয়।
কি, একটু ভারী হয়ে গেল? কী আর করব! গত কয়েকদিন ধরে চিন্তাভাবনা দেখছি কেমন ভারী ভারী গুরুগম্ভীর টাইপের হয়ে গেছে।
চেনা গন্ডীতে ফিরে আসা যাক।
অর্কূটে ফিরে আসা যাক।
গত কয়েকমাস আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু চুটিয়ে অর্কূট করেছি। সংস্কৃতি পেরিয়ে অর্কূট তাই কিছুটা ব্যক্তিসত্তায় ঢুকে গেছে। (আনসান স্ক্রাপের মাহাত্ম্য বেশ বুঝতে পারছি।) স্ক্রাপ আমাদের ভাবতে শিখিয়েছে, কীভাবে প্রকাশ্য ক্ষেত্রেও দ্ব্যার্থবোধক সংকেতের সাহায্যে অথবা ধোঁয়াশাময় শব্দবন্ধের মাধ্যমে ব্যক্তিগত কথাবার্তা চালানো যায়। সারাদিন বন্ধুদের সঙ্গে চলতে থাকা কথার আবর্তের পাশাপাশি অর্কূটে তৈরী হয় সাংকেতিক কথার অন্য আবর্ত। আর তাই আমরাও একটু অন্যভাবে ঘুরে চলি। অর্থাৎ ব্যক্তিসত্তায় অর্কূটের প্রভাবকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
এছাড়াও অর্কূটে তৈরী হয় নিজের সংস্কৃতি এবং অপসংস্কৃতির এক অনন্য মাত্রা। এর মধ্যেই অর্কূটে মহিমা সহ চলে এসেছে সত্য সাঁই এর প্রচার স্ক্রাপ। আমাদের মনের জমে থাকা ক্ষোভ স্থান পেয়েছে বিভিন্ন হেট্‌ কমিউনিটিতে (এই হেট্‌ কমিউনিটি বিষয়ে বহু লোকে গুচ্ছ গুচ্ছ কথা বলেছে তাই আমি আর বলবনা)। এস-এম-এস এর পর আমাদের সাহিত্য প্রতিভা পুনরাবিস্কৃত হয়েছে কিছু কিছু স্ক্রাপে এবং সাহিত্য আলোচনাচক্রে। বাংলা ভাষাতেও তৈরী হয়েছে বেশ কিছু কমিউনিটি। যেমন কবিতা মুক্তমঞ্চ (বোকাবোকা আর বুড়োটে), বাংলা উপন্যাস ( অ আ = সম্ভব আঁতেল) ইত্যাদি। তবে একটা কমিউনিটির নাম নিতেই হবে। সেটা হল বাংলা খিস্তি (bangla khisti http://www.orkut.com/Community.aspx?cmm=5682714 )। উঁহু, খিস্তি শুনে নাক সিঁটকাবেন না। আপনি যদি বাংলা ভাষাকে ভালবাসেন তবে তাকে সম্পূর্ণতায় ভালবাসুন। খিস্তি যেকোন ভাষার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বাংলাকে ভালবাসতে হলে খিস্তি বাদ দিয়ে ভালবাসলে চলবে না। আর ওই কমিউনিটিটায় যাওয়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন, অন্যান্য ভাষার খিস্তির তুলনায় বাংলা খিস্তিতে কত মিষ্টতা আছে। (খিস্তি ব্যাপারটা খুব একটা খারাপ নয় তাছাড়া। মনের যে গভীর আবেগ সহজ চার অক্ষরে বোঝানো যায় তার জন্য ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে প্যারাগ্রাফ ভরানোকে বাংলায় আঁতলামি বলে।)
সকল কাজের মধ্যে অর্কূট জড়ানো। অনির্বাণের পাঠানো এই কবিতাটা দিয়ে শেষ করব।
The Orkut Song: (Woh Lamhe সিনেমার Kya Mujhe Pyaar Hai এর সুরে)
Kyun aaj kal homework kam orkut jyada hain
Lagta fail hone ka pura hi iraada hain
Kal tha topper aaj 40 bhi jyada hai
Lagta fail hone ka pura hi iraada hain
Kya mujhe pyar hai haan...
Orkut se pyar hai haan.....------(2)
Ooooo Oooooooo Ooooooooooooo
Tutor ki in classes main
Boring si ek Teacher hai
Jabse mila hai ye Orkut
Badla har ek manjar hain
Dekhun jahaan mein neeli-neeli iss screen tale
Dost naye-naye hai jaise milte hue
Tu mere khwabon mein,jawaabon mein sawaalon mein
Har din chura tumhe main laata hoon khayalon mein
Kya mujhe pyar hai haan...
Orkut se pyar hai haan.....------(2)
Ooooo Oooooooo Ooooooooooooo
একটি ব্যক্তিগত স্বীকারোক্তি :-
আজকের ব্লগের সঙ্গে অন্যদিনের ব্লগের পার্থক্য হল, আজকের ব্লগটা ঠিক স্বতঃস্ফূর্ত নয়। অনেকটা লিখব বলে ঠিক করে তার পর বিষয় বেছে, ফরমায়েসী গোছের লেখা।

No comments: